পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫

 

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫ তা জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ুন কেননা এখানে রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা যা আপনার অবশ্যই কাজে আসবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

পহেলা-বৈশাখ-কত-তারিখ-২০২৫-জেনে-নিন

আর আপনি কি পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাবেন কিভাবে তা জানেন না কিন্তু এটা জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি শুধু মাত্র আপনার জন্য তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

পোস্টের সূচিপত্র:- পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫? বাংলা মাসের প্রথম মাস বৈশাখ মাস। পবিত্র ঈদের পর এবার কার পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হবে। পহেলা বৈশাখ ২০২৫ সালে ১৪ এপ্রিল, সোমবার পালিত হবে।

পহেলা বৈশাখ ইংরেজি কত তারিখ 2025

পহেলা বৈশাখ ইংরেজি কত তারিখ 2025? জানুয়ারি ইংরেজি মাসের প্রথম মাস  আর পহেলা বৈশাখ  হলো বাংলা মাসের প্রথম মাস। তাই সকল বাঙালি এটা উদযাপন করে থাকে। সাধারণত প্রতি বছরই ইংরেজি মাসের ১৪ ই এপ্রিল এটা পালিত হয়ে আসছে। 

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ বাংলাদেশ

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ বাংলাদেশ? পবিত্র ঈদের পর এবার কার পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হবে। পহেলা বৈশাখ ২০২৫ সালে ১৪ এপ্রিল, সোমবার পালিত হবে। বাংংলাদেশেও ঠিক একই দিনে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হবে বলা যায় যা প্রতিবারই হয়ে আসছে। 

পহেলা বৈশাখ 2025 বাংলায় কত সাল

পহেলা বৈশাখ 2024 বাংলায় কত সাল? পহেলা বৈশাখ বাংলায় ১৪৩২ সাল। পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা হলো বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সকল বাঙালির একটি বিশেষ দিন। এটি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এই দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপক উৎসব মুখর ভাবে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখ কেন উদযাপিত হয়? পহেলা বৈশাখ হল বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যার অর্থ এটি একটি নতুন শুরুর প্রতীক। পুরাতন কালে, এই দিনটি ফসল কাটার সময়ের সাথে সবসময়ই মিলে যেতো। তাই এটি একটি ফসল উৎসব হিসাবেও পালিত হতো। ব্যবসায়ীরা এই দিনে নতুন হিসাব খাতা চালু করত। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তার সাথে এটি একটি জাতীয় উৎসব।

পহেলা বৈশাখ কিভাবে উদযাপন করা হয়

পহেলা বৈশাখ কিভাবে উদযাপন করা হয়? পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ, এটি বাঙালির জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কিছু প্রধান উপায়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই শোভাযাত্রায় বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়। পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলে পান্তা-ইলিশ। অনেকেই এই দিনটি পরিবার-পরিজনের সাথে বসে পান্তা-ইলিশ খেয়ে উদযাপন করেন।

আরো পড়ুন:- শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

ব্যবসায়ীরা নতুন হিসাবের বই খোলে এবং নতুন বছরের শুভ কামনা করেন। গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার, খেলনা এবং সাজসজ্জার সামগ্রী পাওয়া যায়। অনেকেই এই দিনে নতুন পোশাক পরে এবং পরিবার-বন্ধুদের সাথে দেখা করেন। বিভিন্ন স্থানে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। কবিরা তাদের কবিতা পাঠ করেন এবং সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:-শবে মেরাজ কবে 2025 সালের- শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

এছাড়াও, পহেলা বৈশাখে আপনি নিজের মতো করেও উদযাপন করতে পারেন। বন্ধুদের সাথে পার্কে হাটতে বের হতে পারেন, বাড়ির ছাদে বসে আকাশ দেখতে পারেন, গান শুনতে পারেন (এলো রে এলো পহেলা বৈশাখ)। পরিবারের সদস্যদের সাথে খেলাধুলা করতে পারেন, গল্প করতে পারেন বা পড়তে পারেন। বা একসাথে রান্না করতে পারেন।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস কি

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস কি? বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। এই উৎসবের ইতিহাস খুবই রাশিচিহ্নিত এবং সমৃদ্ধ।

মুঘল যুগ: মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি হিজরি সনের জটিলতা কাটিয়ে কৃষিজীবীদের সুবিধার্থে এই সন চালু করেন। প্রথমে এই সনকে ফসলি সন বলা হতো। কারণ, এটি কৃষি চক্রের সাথে মিলে যায়। আকবরের আমল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের রীতি শুরু হয়। কৃষকরা তাদের ফসলের উৎপাদনকে নিয়ে এই দিনটি উদযাপন করত।

আধুনিক যুগ: ধীরে ধীরে পহেলা বৈশাখ একটি বড় সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গান এই উৎসবকে আরো সমৃদ্ধ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখকে একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান উৎসবে পরিণত করে।

পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব: পহেলা বৈশাখ নতুন শুরুর প্রতীক। এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব।

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য- পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে বাংলাদেশে উদযাপিত হয়।

  • এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি বিশেষ উৎসব।
  • মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
  • পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া একটি ঐতিহ্য।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের একটি অন্যতম আকর্ষণ।
  • এই দিনটি নতুন শুরুর প্রতীক।
  • গ্রামে-গঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে এতে বিভিন্ন মাটির জিনিস পাওয়া যায়। 
  • পহেলা বৈশাখে নতুন পোশাক পরার রীতি আছে।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গান পহেলা বৈশাখকে আরো সমৃদ্ধ করে।
  • পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের একটি জাতীয় উৎসব।

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ জেনে নিন 

পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ জেনে নিন। বাঙালির প্রাণের উৎসব হলো এটা। বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল এই দিনটি উদযাপিত হয়। এই দিনটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায়। তিনি কৃষিজীবীদের সুবিধার্থে বাংলা সন প্রবর্তন করেন। ধীরে ধীরে এই দিনটি বাঙালির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে হিসেবে সবার কাছে পরিণিতি লাভ করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গান এই উৎসবকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন কবি এ সম্পর্কে বিভিন্ন কবিতা লিখেছেন। 

পহেলা বৈশাখে মানুষ নতুন পোশাক পরিধান করা। এই দিনে বিশেষ করে মেয়েরা লাল শাড়ি পড়ে থাকে তার সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি, আর ছেলেরা পাঞ্জাবি। পরিবার-বন্ধুদের সাথে দেখা করে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা এই দিনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে থাকে। পান্তা-ইলিশ পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত হলেও একটা কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ ছাড়া ঐ দিন চলেই না।

পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির জীবন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এই দিনটি নতুন শুরুর প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়।

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাবেন কিভাবে

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাবেন কিভাবে? পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানানোর অনেক উপায় আছে। বিভিন্ন ইভেন্টে আমরা আমাদের কাছের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি। তেমনি আপনি এই দিনেও আপনার প্রিয়জনদের কাছে বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

কিছু উদাহরণ:

  • আপনি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের কাছে গিয়ে বা ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিতে পারেন।
  • যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারেন। এছাড়া এমনি ম্যাসেজ করে পাঠাতে পারবেন। 
  • আপনি চাইলে সুন্দর একটি ই-কার্ড তৈরি করে পাঠাতে পারেন।
  • একটি কার্ডে নিজের হাতে সুন্দর ডিজাইন করে শুভেচ্ছা বার্তা লিখে পাঠাতে পারেন।

শুভেচ্ছা বার্তার কিছু উদাহরণ আপনার সুবিধার স্বার্থে দেওয়া হলো:

  • সাধারণ: শুভ নববর্ষ! নতুন বছর আপনার জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক।
  • পহেলা বৈশাখের এই শুভ দিনে আপনার জীবন ভালোবাসা, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।
  • পয়লা বৈশাখের আনন্দে ভরে উঠুক আপনার জীবন, আর মিষ্টির মতো মিষ্টি হোক আপনার দিন।

আপনি নিজের মতো করেও শুভেচ্ছা বার্তা তৈরি করতে পারেন। আপনার বার্তা যেন ব্যক্তিগত হয়, আপনি তার কাছের মানুষ সেটা প্রকাশ করতে পারেন। তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রকাশ করুন খুব সহজেই। এটাকে আকর্ষণীয় করার জন্য এতে আপনি একটি সুন্দর ছবি বা GIF যুক্ত করতে পারেন। পহেলা বৈশাখের দিন সকালে সকলকে শুভেচ্ছা জানালে ভালো হয়। অন্যদের পাঠালে তারা আনন্দিত হয় আর বাকীদের কেউ পাঠিয়ে থাকে।

আমাদের শেষ কথা- ১লা বৈশাখ ২০২৫ কবে 

আমাদের শেষ কথা- ১লা বৈশাখ ২০২৫ কবে?আশা করি "পহেলা বৈশাখ কত তারিখ ২০২৫" পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url