শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন। এইসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইলে জেনে নিতে পারবেন এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যেমে আপনি কেননা এইখানে এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

শবে-কদর-২০২৫-কত-তারিখে-জেনে-নিন
আর আপনি কি শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ জানতে চান তাহলে সেটাও আপনি খুব সহজেই এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পোস্টের সূচিপত্র:- শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন 

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন? ২০২৫ সালে ২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার শবে কদর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এটা সম্পুর্ণ ভাবে নির্ভর করছে চাঁদ দেখার উপর আর চাঁদ না দেখা দিলে এই দিন না হয়ে দিন পরিবর্তন হতে পারে। আর যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে ঠিক ২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার শবে কদর ২০২৫ হবে।

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ

শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে বাংলাদেশ? শবে কদর, শবে বরাত এগুলো অনেকটাই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করছে। চাঁদ দেখা গেলে বাকি দেশের সাথে বাংলাদেশ ও ঠিক একই দিনে ২৭ শে মার্চ বৃহস্পতিবার পবিত্র শবে কদর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে বলা আশা করা হচ্ছে বাকি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করছে।

লাইলাতুল কদর রাতের মর্যাদা কত

লাইলাতুল কদর রাতের মর্যাদা কত? লাইলাতুল কদর রাতের মর্যাদা অপরিসীম। এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র কুরআনে কদর সূরায় এসেছে, "নিশ্চয় আমি এ কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। আর কদরের রাত কি তোমরা জানো কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।" (সূরা কদর, আয়াত ১-৩)

লাইলাতুল কদরের মর্যাদার কিছু দিক:

হাজার মাসের চেয়ে উত্তম হলো এই রাতে। এই রাতে এক ঘন্টা ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায় আর আপনি চাইলেই সারারাত ও ইবাদত করতে পারেন। এই রাত পবিত্র কুরআন নাজিলের রাত। পবিত্র কুরআন এই রাতে নাজিল হয়েছে। আল্লাহ এই রাতে বান্দার দোয়া কবুল করেন।এই রাতে ইবাদত করলে অনেক গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আগামী বছরের জন্য মানুষের ভাগ্য এই রাতে নির্ধারিত হয়।

লাইলাতুল কদরের রাতের গুরুত্ব:

অন্য রাতের চেয়ে লাইলাতুল কদর ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। প্রতেক বছর শুধু মাত্র এই একটা রাতের জন্য অপেক্ষা করে থাকে হাজার হাজার মুসলমান। এই রাতের ফজিলত জেনে মুসলমানরা ইবাদতে আরো বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে। আরো বেশি সওয়াব লাভের জন্য তারা বেশি করে ইবাদত করে থাকে। আল্লাহর কাছে আরো কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ এটা। এই রাতে আল্লাহর কাছে আরো কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ মেলে যা অন্য সব রাতে কখনোই সম্ভব না।

লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে

লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে? লাইলাতুল কদর, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত, রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে কোন এক রাত। পবিত্র কুরআন এই রাতে নাজিল হওয়ায় এর মর্যাদা অপরিসীম। কোন রাতে লাইলাতুল কদর হবে? রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রোজার রাত গুলো: ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর হয়ে থাকে। অনেক আলেমের মতে, ২৭ রমজানের রাত লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, এই দিনেই বেশি হয়।

লাইলাতুল কদরের রাতে কি করবেন? নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, ইস্তিগফার ইত্যাদি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, জান্নাতের কামনা ইত্যাদি। কুরআন মজিদ তেলাওয়াত: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে আরো কাছাকাছি যাওয়া।

লাইলাতুল কদরের দোয়া কি জানুন

লাইলাতুল কদরের দোয়া কি জানুন? লাইলাতুল কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। এই রাতে বিশেষ কিছু দোয়া পড়ার সুন্নত রয়েছে।

শবে কদরের একটি বিশেষ দোয়া হলো: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি।

যার অর্থ এটাই যে: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। এছাড়াও, আপনি নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন এবং জান্নাতের কামনা করতে পারেন।

লাইলাতুল কদরের রাতে আরো কিছু দোয়া পড়ার সুন্নত রয়েছে: সুরা ফাতিহা: পুরো কুরআনের সার সংক্ষেপ এই সূরায় রয়েছে। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস: এই তিনটি সূরা কাফিরদের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য পড়া হয়। দরুদ শরীফ পাঠ করতে পারেন। অনেক ছোট বা বড় দরুদ শরীফ আছে আপনি তা পাঠ করতে পারেন। নবী করীম (সাঃ)-এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা ভালো। লাইলাতুল কদরের রাতে আরো কিছু করণীয়:

পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা। কতটুকু পড়তে হবে নির্দিষ্ট করে তা বলা নাই। আপনি যতটুকু পারবেন ততখানিই পড়বেন। নফল নামাজ আদায় করা। লাইলাতুল কদরের নামাজ সম্পর্কে বলা নায় আপনি চাইলেই এটি পড়তে পারেন। আল্লাহর নাম অসংখ্য। সবগুলোই বিভিন্ন গুণের অধিকারী। আপনি সেগুলো জিকির করতে পারেন। আল্লাহর কাছে নিজের করা ভুল সংশোধনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। তিনি পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল তিনি আপনাকে চাইলে ক্ষমা করতে পারেন।

শবে কদর নামাজের নিয়ম কি

শবে কদর নামাজের নিয়ম কি? বলতে গেলে শবে কদরের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এটি একটি নফল নামাজ, এবং নফল নামাজ সাধারণত যেভাবে পড়া হয়, শবে কদরেও ঠিক সেভাবেই পড়তে হয়।আপনি কিভাবে নামাজ পড়তে পারেন?দুই রাকাত করে যত বেশি পড়তে পারেন, ততই ভালো।

আরো পড়ুনঃ- শবে মেরাজ কবে 2025 সালের- শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরসী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়তে পারেন। নামাজের শুরুতে "আমি আল্লাহর জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম" এভাবে নিয়ত করতে পারেন। শবে কদরের নামাজের কোনো বিশেষ সূরা বা দোয়া নেই। আপনি যে দোয়া পড়ে সাধারণত নামাজ পড়েন সেগুলো দিয়েই এই নামাজ পড়ে ফেলতে পারবেন। আপনি অন্যান্য নফল নামাজের মতোই নামাজ পড়তে পারেন।

শবে কদরের নামাজ কত রাকাত

শবে কদরের নামাজ কত রাকাত? শবে কদরের নামাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট রাকাতের সংখ্যা নেই। এটি একটি নফল নামাজ, এবং নফল নামাজের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট রাকাতের বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি যত রাকাত পড়তে চান, তত রাকাত পড়তে পারেন। তবে সাধারণত দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়া হয়। এই নামাজের নিয়ম অনেকটা নফল নামাজের মতোই। আপনি দুই রাকাত করে যত বেশি পড়তে পারেন, ততই ভালো।

আরো পড়ুন:- চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন

শবে কদরের নামাজ পড়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি: নামাজের শুরুতে "আমি আল্লাহর জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম" এভাবে নিয়ত করতে পারেন। আর আপনার যদি আরবি নিয়ত মুখস্থ থেকে থাকে তাহলে আপনি সেটাও পড়তে পারেন। আর তা না পারলে নিজের মতো বাংলায় বলতে পারেন।প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়তে পারেন। এ সূরা পাঠ করতে পারেন। 

শবে কদরের আমল কি জানুন 

শবে কদরের আমল কি জানুন। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাতের ইবাদত

শবে কদর, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। এই রাতে ইবাদত করলে আল্লাহ তা'আলা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। এই রাতের ফজিলত অর্জনের জন্য কিছু বিশেষ আমল করা হয়।

শবে কদরে করণীয় আমল:

  • রাতের শুরুতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদের নামাজ সারারাত ও পড়তে পারেন এর সাথে অন্য দোয়া পড়তে পারেন। 
  • দুই রাকাত করে যত বেশি নফল নামাজ পড়া যায়, ততই ভালো।
  • মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করা উচিত এর সওয়াব অনেক।
  • পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা, বিশেষ করে সূরা কদর, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।

আল্লাহর কাছে আপনি অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবেন কেননা এই রাতের মতে উত্তম রাত আপনি আর পাবেন না। জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করা। দোয়া: "আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা'ফু আন্নি" (অর্থ: হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাটা আপনার পছন্দ। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।) এই দোয়া পাঠ করতে পারেন। 

শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি

শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি- শবে কদরের নামাজের নিয়ত আরবি: "নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা'আ-লা- রাক'আতাই ছালা-তি লাইলাতুল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার"। বাংলা অর্থ: "আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে কদরের দু'রাক'আত নফল নামাজ আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার"।

উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি। '

লেখকের শেষ মন্তব্য:- লাইলাতুল কদর ২০২৫

লেখকের শেষ মন্তব্য:- লাইলাতুল কদর ২০২৫। আশা করি "শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিনপোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url