আসল খেজুর চেনার উপায় কি জেনে নিন।

আসল খেজুর চেনার উপায় কি জেনে নিন। সামনে রমজান মাস চলে এলো নিজে সুস্থ থাকুন। পরিবারের সুস্থতার অবশ্যই খেয়াল রাখুন। আর খুব সহজেই পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করুন। 

আসল-খেজুর-চেনার-উপায়-কি-জেনে-নিন

আপনি কি সবচেয়ে ভালো মানের খেজুর কোনটি জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি শুধু মাত্র আপনার জন্য তাহলে আর দেড়ী কেন চলুন সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ে তা জেনে নিন।

পোস্টের সূচিপত্র : আসল খেজুর চেনার উপায় কি জেনে নিন

ভেজাল যুক্ত খেজুর চেনার উপায় 

ভেজাল যুক্ত খেজুর চেনার উপায় :-
  • খেজুরের চামড়া পুরো টান থাকবে কিন্তু আসল খেজুরের হালকা কুচকানো থাকে।
  • এই খেজুর অতিরিক্ত মিষ্টি হবে সাধারণ খেজুরের চেয়ে। 
  • খেজুরের গায়ে বেশি চকচকে বা হালকা রঙের কোনো পাউডারের আবরণ অবশ্যই থাকবে।
  • খেজুরে যদি কোনো মাছি কিংবা পোকা বসে এর মানে সেখানে মিষ্টি জাতীয় কিছু মেশানো আছে। 
  • খেজুরের ভেতরের অংশ লাল তবে সেটি পুরনো।
  • খেজুর দেখে যদি লাগে শুকনো বা কড়া তাহলে বুঝতে হবে খেজুর ভেজাল যুক্ত।
  • মিষ্টি  বা সিরাপের গন্ধ পেলে। 
  • অতিরিক্ত আঠালো হলে।

কোন ধরনের খেজুর খাওয়া উচিত 

কোন ধরনের খেজুর খাওয়া উচিত? খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন ধরনের খেজুর রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে সঠিক ধরনের খেজুর খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিভিন্ন ধরনের খেজুরে পুষ্টিগুণ ও স্বাদে পার্থক্য থাকতে পারে। নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর খেজুরের ধরন ও তাদের উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
  • মজাফাতি খেজুর (Mazafati Dates): মজাফাতি খেজুর নরম, আর্দ্র এবং অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এটি ভিটামিন এ, পটাসিয়াম এবং প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ। এটি দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক এবং পেশির ক্লান্তি দূর করতে পারে।
  • আজওয়া খেজুর (Ajwa Dates): আজওয়া খেজুর ছোট এবং কালো রঙের হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং কিছুটা কড়া। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে সাহায্যে করে। বিশেষত এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো।
  • মেদজুল খেজুর (Medjool Dates): মেদজুল খেজুর আকারে বড়, নরম, এবং রসে ভরপুর। এটি উচ্চমাত্রায় ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক। এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • কালাস খেজুর (Khalaas Dates): কালাস খেজুর নরম এবং মধুর মতো মিষ্টি স্বাদের হয়। এতে প্রাকৃতিক চিনি এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। এটি দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় রাখতে সহায়ক।
  • সুকারি খেজুর (Sukkari Dates):- সুকারি খেজুর সোনালী রঙের এবং অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। এটি শরীরে তাপ ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে এবং এটি হাড় ও দাঁতের মজবুতের জন্য ভালো।
  • দেগলেট নূর খেজুর (Deglet Noor Dates):- এই খেজুরের রঙ অন্য খেজুরের চেয়ে হালকা হয় এবং টেক্সচার কিছুটা কড়া হলেও মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই ভালো বলা যায়। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো, কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এটি ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি এই খেজুর খেতে পারেন। অনেকে খেজুর মিষ্টি থাকায় খেতে পারে না, এককথায় তাদের জন্য এটা খুবই ভালো হবে।
  • বাহরি খেজুর (Barhi Dates): বাহরি খেজুর দেখতে আকারে ছোট, নরম এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এতে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং প্রাকৃতিক চিনি। এটি আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্যে করে এবং পেটের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • সাফাভি খেজুর দেখতে গাঢ় রঙের এবং কিছুটা শক্ত হলেও খেতে এটা মিষ্টি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। এটি আমাদের রক্ত স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
সেরা খেজুর বাছাইয়ের পরামর্শ: সবসময় প্রাকৃতিক ও কেমিক্যাল-মুক্ত খেজুর বেছে নেয়া উচিত। প্রক্রিয়াজাত খেজুরে অনেক সময় কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিভ বা চিনি যোগ করা হয়। খেজুরের টেক্সচার নরম ও রসে ভরপুর হলে তা খেতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর হয়। ভালো মানের খেজুর সাধারণত ফ্রিজে বা ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

বর্তমানে ভেজাল মুক্ত জিনিস এখন নাই বললেই চলে। তবে ভেজাল মুক্ত সবকিছুই শরীরের জন্য খুবই ভালো। সঠিক ধরনের খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে মেদজুল, আজওয়া, মজাফাতি ও সুকারি খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়ক। তবে কৃত্রিম মিষ্টি বা প্রিজারভেটিভ যুক্ত খেজুর এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

সবচেয়ে ভালো মানের খেজুর কোনটি 

সবচেয়ে ভালো মানের খেজুর কোনটি? আজওয়া এবং মেদজুল খেজুরকে সবচেয়ে ভালো মানের এবং স্বাস্থ্যকর খেজুর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এদের পুষ্টিগুণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এবং প্রাকৃতিক চাষ পদ্ধতি গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও, প্রাকৃতিক এবং অপ্রক্রিয়াজাত খেজুর স্বাস্থ্য রক্ষায় সবচেয়ে উপকারী বলে গবেষকরা মনে করেন।

কোন খেজুর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে

কোন খেজুর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে? চিকিৎসকদের মতে, আজওয়া, মেদজুল, এবং সুকারি খেজুর গুলো সবচেয়ে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এদের মধ্যে পুষ্টি গুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে এগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সবসময় খেজুরের গুণ গত মান যাচাই করে সঠিকভাবে নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকদের মতে ভালো খেজুর কোনটি 

গবেষকদের মতে ভালো খেজুর কোনটি? গবেষকদের মতে, ভালো মানের খেজুর নির্ধারণে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য এবং পুষ্টিগত উপাদান বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে খেজুরের প্রাকৃতিক উপাদান, প্রিজারভেটিভ বা কৃত্রিম পদার্থের অনুপস্থিতি, এবং এর পুষ্টিগত মূল্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিছু বিশেষ খেজুর, যেমন আজওয়া (Ajwa) এবং মেদজুল (Medjool), পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য গবেষকদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে পরিচিত এবং সুপারিশকৃত। গবেষকদের মতে ভালো খেজুরের বৈশিষ্ট্য সমূহ:
আজওয়া খেজুর (Ajwa Dates): গবেষণার ভিত্তিতে আজওয়া খেজুরে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ, যা শরীরে প্রদাহ কমায়। পেটের সমস্যায় এবং হজম শক্তি উন্নত করতে এটি কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, আজওয়া খেজুর নিয়মিত খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আজওয়া খেজুরে থাকা ফেনোলিক যৌগ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

মেদজুল খেজুর (Medjool Dates):গবেষণার ভিত্তিতে মেদজুল খেজুরকে উচ্চ ফাইবার এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক, তাই এটি খেলোয়াড়দের বা শারীরিক পরিশ্রমকারীদের জন্য উপযোগী। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মেদজুল খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজম সমস্যা সমাধানে সহায়ক।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মেদজুল খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য এবং হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অন্য ভালো খেজুর: সাফাভি (Safawi) এবং সুকারি (Sukkari) খেজুরও গবেষকদের মতে স্বাস্থ্যকর। এদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গবেষকদের সুপারিশ কি জানুন। প্রাকৃতিক খেজুর: প্রাকৃতিকভাবে চাষ করা, রাসায়নিকমুক্ত খেজুর সবচেয়ে ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এতে কোনো কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ বা রঙ মেশানো হয় না। উচ্চ ফাইবার যুক্ত খেজুর যেমন মেদজুল, হজমের উন্নতি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খেজুর খাওয়া আপনি আজওয়া খেজুরে পাবেন। আজওয়া এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং কোষের সুরক্ষা দেয়।

চিকিৎসকদের মতে ভালো খেজুর 

চিকিৎসকদের মতে ভালো খেজুর কোনটি? চিকিৎসকদের মতে, খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে কিছু বিশেষ খেজুর স্বাস্থ্যগত দিক থেকে বেশ উপকারী। বিশেষ করে আজওয়া (Ajwa), মেদজুল (Medjool), এবং সুকারি (Sukkari) খেজুরকে চিকিৎসকেরা সাধারণত সুপারিশ করেন। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো:

আরো পড়ুন:- শবে কদর ২০২৫ কত তারিখে জেনে নিন


১. আজওয়া খেজুর (Ajwa Dates): স্বাস্থ্য উপকারিতা কি? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আজওয়া খেজুরে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত পেটের জন্য ভালো হয়ে থাকে। এই খেজুর হজম শক্তি উন্নত করতে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় উপকারী। আজওয়া খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপযুক্ত।

আরো পড়ুন:- শবে মেরাজ কবে 2025 সালের- শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৫

২. মেদজুল খেজুর (Medjool Dates):
স্বাস্থ্য উপকারিতা মেদজুল খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। এতে প্রাকৃতিক শর্করা আছে, যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে, তাই এটি ক্রীড়াবিদদের জন্য উপযুক্ত। মেদজুল খেজুরে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ের উচ্চ পরিমাণ রয়েছে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৩. সুকারি খেজুর (Sukkari Dates): মিষ্টি স্বাদ যুক্ত। সুকারি খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি এবং এটি সহজেই হজম হয়। এতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। হজমে সহায়ক। এটি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।

৪. অন্য খেজুরের প্রকার: কালাস (Khalas) এবং মজাফাতি (Mazafati) খেজুরও চিকিৎসকদের দ্বারা সুপারিশিত হয়। এদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং এগুলো স্বাদে বেশ সুস্বাদু।

প্রাকৃতিক খেজুর কিনতে হবে। চিকিৎসকেরা কৃত্রিম রঙ, প্রিজারভেটিভ বা অন্যান্য রাসায়নিক যুক্ত খেজুর এড়াতে পরামর্শ দেন। প্রাকৃতিক এবং অপ্রক্রিয়াজাত খেজুর স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ। খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, এটি ক্যালোরিতে উচ্চ, তাই সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আসল খেজুর চেনার উপায় কি

আসল খেজুর চেনার উপায় কি জেনে নিন।
  • ভালো খেজুর পরিষ্কার এবং  দেখতে উজ্জ্বল হবে। আসল খেজুরের চামড়া কোঁচকানো অবশ্যই থাকবে।
  • অল্প পরিমাণে আঠালো হবে।
  • খেজুর  মিষ্টি হবে কিন্তু সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি হবে না স্বাভাবিক হবে ।
  • আসল খেজুরের গায়ে বেশি চকচকে বা হালকা রঙের কোনো পাউডারের আবরণ থাকবে না।
  • আসল খেজুরে একটি সুন্দর প্রাকৃতিক গন্ধ পাওয়া যায়। 
  • অতিরিক্ত শুকনো বা কড়া হবে না।
  • খেজুরে যদি মাছি কিংবা পোকা বসে তবে বুঝতে হবে খেজুরে চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় কিছু  মেশানো রয়েছে যার ফলে মাছি বসে। তাই খেজুর কেনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
  • খেজুর  ছেড়ার পর ভেতরের অংশ লাল  হলে তবে সেটি পুরনো আর সাদা আস্তরণ যদি থাকে সেটি এ বছর তৈরি করা হয়েছে। 
খেজুর কেনার জন্য বস্তার খেজুরের চেয়ে প্যাকেটজাত করা খেজুর কেনা উত্তম সবচেয়ে উত্তম হবে। কারণ বস্তার খেজুরের চেয়ে প্যাকেটজাত খেজুর গুণ এবং মান ২ টায় সবসময় ভালো হয়। যদিও এর দাম ও অন্যের চেয়ে ভালোই হয়। বস্তার খেজুরে মেয়াদের তারিখ লেখা হয় না যা প্রধান সমস্যা। আপনি এর ডেট পার হলেও বুঝতে পারবেন না কখনো। দোকান দার আপনাকে অনেক সময় ডেট পার হওয়া জিনিস দিয়ে থাকে।  কোনো জিনিসের ডেট পার হলেও বুঝা যায় না কারণ এতে ডেট থাকে না অপর পক্ষে প্যাকেটজাত খেজুরে তা লেখা থাকে এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। 

খেজুর বা যেকোনো জিনিস কেনার  আগে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে জিনিস টা কোন দেশের। কোনো জিনিসের মান অবশ্যই এর উপর নির্ভর করে। সেরকম ভাবেই খেজুর কোন দেশের তা দেখে কেনা উচিত। খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো মিশর এবং সৌদি আরবের খেজুর। যদিও ইরান, আরব আমিরাত অন্যান্য দেশের খেজুরও ভালো হয়ে থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

লেখকের শেষ মন্তব্য- আশা করি "আসল খেজুর চেনার উপায় কি জেনে নিন" পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url