জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫
জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫ থেকে অনুষ্ঠিত হবে তা জেনে নিতে চান তাহলে এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ুন কেননা এখানে রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আর আপনি কি কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ২০২৫ পারনের সময় জানতে চান তাহলে সেটাও এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন আর দেড়ি না করে জেনে নিন।
পোস্টের সূচিপত্র:- জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫
- জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫
- কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ২০২৫ পারনের সময়
- রাধা জন্মাষ্টমী ২০২৫ কবে হবে
- গোপালের 56 ভোগ কি কি
- জন্মাষ্টমী কেন পালন করা হয়
- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কত তারিখ ২০২৫
- শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মদিন ২০২৫
- লেখকের শেষ মন্তব্য:- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে
জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫
জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫? এবার ২০২৫ সালে জন্মাষ্টমী তিথি ১৬ পড়বে আগস্টের রোজ শনিবারে। এই দিনটি বিশেষ করে সকল হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য একটি বিশেষ উৎসবের দিন। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হবে, যার জন্য সকলে অপেক্ষা করছে অধীর আগ্রহ নিয়ে। জন্মাষ্টমী শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি প্রতিচ্ছবিও বটে। এই দিন বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ২০২৫ পারনের সময়
কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ২০২৫ পারনের সময় কখন হবে এবার? ২০২৫ সালের কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এবার ১৬ই আগস্ট রোজ শনিবার পালিত হবে। জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে পরিচিত। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে আসে।
রাধা জন্মাষ্টমী ২০২৫ কবে হবে
রাধা জন্মাষ্টমী ২০২৫ কবে হবে এবার জেনে নিন। ২০২৫ সালে রাধাষ্টমী কবে হবে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব হবে না কোনো ভাবেই। তবে সাধারণত, এটি কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী হওয়ার ঠিক ১৫ দিন পরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেহেতু কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৫ সালের ১৬ই আগস্টে হবে, তাই রাধাষ্টমী সম্ভবত আগস্টে মাসের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে হবে যত দূর সম্ভব ১ তারিখে।
গোপালের 56 ভোগ কি কি
গোপালের 56 ভোগ কি কি? গোপালের ৫৬ ভোগ হলো ৫৬ রকমের ভিন্ন ভিন্ন সকল খাবারের বিভিন্ন ধরনের পদ যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা হয়ে থাকে। এই ৫৬টি পদ সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, ফল, সবজি, পানীয়, এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। ভোগ দেওয়া হয় মূলত শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক স্বরূপ থেকে। এই ৫৬ ভোগে সাধারণত কি কি থাকে তার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকে যেমন:- লাড্ডু, পেড়া, বরফি, রসগোল্লা, হালুয়া, চমচম চন্দ্রপুলি, রসমালাই, মালপোয়া, অমৃতি, সন্দেশ, জিলাপি, ক্ষীর, পায়েস, শ্রীখণ্ড, মোহনভোগ, রাজভোগ।
বিভিন্ন সুস্বাদ ফল: আম, জাম, কলা, নারিকেল, পেয়ারা, আপেল, আঙুর, তরমুজ, ডাব, খরবুজা, আনারস, বেদানা, কমলা, ডালিম।
বিভিন্ন রকম শাক-সবজি: আলু, পটল, ঝিঙে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, কধু, লাউ, মিষ্টি কুমড়ো, ঢেঁড়শ, বরবটি, শিম, গাজর ইত্যাদি।
পানীয় তরল খাবার: দুধ, দই, বিভিন্ন শরবত, সফট ড্রিংকস, লাচ্ছি, মাঠা।
অন্যান্য খাবার: লুচি, পুরি, কচুরি, আলুর দম, পরোটা, ভাত, ডাল, তরকারি, চাটনি, মিষ্টি, আচার, পাপড়, রায়তা।
জন্মাষ্টমী কেন পালন করা হয়
জন্মাষ্টমী কেন পালন করা হয়? দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করার জন্য এটা পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী যখন পৃথিবীতে অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকর্ম বেড়ে যায়, তখন ভগবান বিভিন্ন রূপে অবতার গ্রহণ করে থাকেন ধর্ম ও ন্যায়কে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন এমনই একজন অবতার। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন দুষ্টের দমন এবং ভালো মানুষদের রক্ষা করার জন্য। কংসের মতো অত্যাচারী রাজাদের হাত থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতে তিনি এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই জন্মাষ্টমী পালন শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী হিসেবে করা নয়, এটি অন্যায় ও পাপের বিরুদ্ধে এমনকি ন্যায়ের জয় এবং শুভশক্তির ও প্রতীক স্বরূপ।
জন্মাষ্টমী উৎসবে মূলত শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মানুষের করা ভক্তি ও ভালোবাসার প্রকাশ পেয়ে থাকে। কারণ তিনি ছিলেন লীলা পুরুষ আবার পরমেশ্বর ভগবান। তার বাল্যলীলা, প্রেমলীলা, এবং জ্ঞানগর্ভ উপদেশাবলী আজও মানুষকে মনো মুগ্ধ করে তুলে। এই দিনে মানুষ শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন কাহিনী গুলো স্মরণ করে থাকেন, তার গুণাবলী মনে করে এবং তার প্রতি নিজেদের প্রেম ও ভক্তি প্রকাশ করে থাকে।
জন্মাষ্টমী সকলের জন্য শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি সুযোগ ও বটে। এই দিনে উপবাস, পূজা, অর্চনা, এবং কৃষ্ণকথা শ্রবণ ও মনন করলে মানুষের মন পরিশুদ্ধ হয় এবং এর সাথে আধ্যাত্মিক পথে অগ্রগতি ও লাভ করতে পারবে। শ্রীকৃষ্ণের উপদেশাবলী, যেমন শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, মানুষকে ধর্ম, কর্ম, এবং মোক্ষের সঠিক পথ দেখিয়ে থাকে। তাই জন্মাষ্টমী আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনে নতুন দিশা দেখাতে পারে।
আরো পড়ুন:- দূর্গা পূজা ২০২৫ কত তারিখ
জন্মাষ্টমী ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উৎসবের মাধ্যমে ভারতীয় শিল্পকলা, সাহিত্য, এবং লোকসংস্কৃতির বিশাল বিস্তার লাভ করে। বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণলীলা, যাত্রা, নৃত্য, এবং সংগীতের আয়োজন করা হয়ে থাকে এই বিশেষ শুভ দিনে, যা এই উৎসবকে আগের চেয়ে আরে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করে। এই উৎসব আমাদের পুরনো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আগামীতে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
জন্মাষ্টমী একটি আনন্দ ও মিলনের উৎসব। এই দিনে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এবং আত্মীয়-স্বজন সহ সকলে একসাথে হয়, পূজা-অর্চনা করে, এবং প্রসাদ বিতরণ করে থাকে। এই ধরনের মিলন ও আনন্দ আমাদের সামাজিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করতে সাহায্যে করে এবং মানুষের সাথে মানুষের একতা ও ভালোবাসার সৃষ্টি করে।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কত তারিখ ২০২৫
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কত তারিখ ২০২৫? ২০২৫ সালে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী ১৬ই আগস্ট মাসের রোজ শনিবারে পালন করা হবে। জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি বিশেষ উৎসব। যদিও এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়, তবে এর আরো কিছু কারণ রয়েছে যা আমরা ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছি। এই দিনটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে আসে।
শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মদিন ২০২৫
শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মদিন ২০২৫ সালে? ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন প্রতি বছর হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী পালিত হয়ে থাকে। যেহেতু এই পঞ্জিকা সৌর ও চন্দ্র তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে থাকে, তাই এর তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়ে থাকে কখনো একই দিনে হয় না। তবে, শাস্ত্রমতে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়। সেই সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালে এবার শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৭ তম জন্মদিন পালন করা হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য:- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে
লেখকের শেষ মন্তব্য:- শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী কবে? আশা করি "জন্মাষ্টমী বাংলা কত তারিখ ২০২৫" পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url