চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ুন কেননা এখানে রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আর আপনি কি মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম কি তা জানতে চান তাহলে সেটাও আপনি এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
পোস্টের সূচিপত্র:- চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম কি
- মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন সহজ ২টি উপায়ে
- এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
- মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- মেছতা দূর করার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
- মেছতা দূর করার সিরাম কোন গুলো
- পুরুষের মেছতা দূর করার উপায়
- পুরুষের মেছতা দূর করার ক্রিম
- লেখকের শেষ মন্তব্য
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। মেছতা একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা মুখ, নাক এবং গালের অল্প জায়গায় হালকা বাদামী বা ধূসর দাগ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় বিশেষ করে গর্ভাবস্থা, হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়া হলে আবার কিছু ওষুধের কারণেও এটি হতে পারে। মেছতা দূর করবেন কিভাবে তার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলো:
১. সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকুন। সূর্যের আলোতে বেশি গেলে মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই রোদ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্য এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এর ফলে সূর্য থেকে আপনি আপনার স্কিন কে বাচাতে পারবেন।
৩. সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করুন। আপনার ভুল স্কিন কেয়ার করার জন্য এটা হতে পারে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে আপনার স্কিন ওয়েলি নাকি তা জেনে সঠিক স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করুন।
৪. কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা মেছতা কমাতে বা চিরতরে দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন - লেবুর রসে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট থাকে যা ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্যে করতে পারে। তবে লেবুর রস সরাসরি মুখে ব্যবহার করা উচিত নয়। এর সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন:- চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়
হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। হলুদ বাটার সাথে মধু, টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। এছাড়াও এতে আপনি অ্যালোভেরা দিতে পারেন। এতে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে।
৫. কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করুন: কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে যা মেছতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন -কেমিক্যাল পিলিং পদ্ধতিতে ত্বকের উপরের স্তরটি তুলে দেওয়া হয় যা আপনার ত্বকের মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। মাইক্রোডার্মাব্রেশন পদ্ধতিতে ত্বকে থাকা মৃত কোষ গুলো তুলে দেওয়া হয় যা মেছতা কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন:- চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
৬.মেছতা দূর করতে একটু সময় তো লাগবে কারণ এটা একদিনে হয় না। এটা হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যান।
মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম কি
মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম কি? মেছতা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বাজারে অনেক গুলো পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় ক্রিম এবং তাদের উপাদান দেওয়া হলো:
হাইড্রোকুইনোন একটি শক্তিশালী ত্বক ফর্সা করার উপাদান। এটি মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে মেছতার দাগ হালকা করতে অনেকটা সাহায্য করে। হাইড্রোকুইনোন ক্রিম সাধারণত ২% থেকে ৫% পর্যন্ত ঘনত্বে পাওয়া যায়।
অ্যাজেলিক অ্যাসিড একটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে মেছতার দাগ অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। অ্যাজেলিক অ্যাসিড ক্রিমে আপনি সাধারণত ১৫% থেকে ২০% ঘনত্ব পাবেন।
ভিটামিন সি সিরাম সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং আপনার চেহারার মেছতার দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সিরাম বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। এই ক্রিম ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ব্যবহারের পর মুখে কিছু হলে আমরা দায়ী না।
মেছতা দূর করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উপরোক্ত ক্রিম গুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কেননা সকল ক্রিম ত্বকের জন্য ভালো না। অনেক সময় এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ক্রিম এবং ঘনত্ব নির্ধারণ করতে পারবেন।
মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন সহজ ২টি উপায়ে
মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন সহজ ২টি উপায়ে। যদিও মেছতা সম্পূর্ণরূপে দূর করা সম্ভব হবে না, তবে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে এর তীব্রতা কমানো যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বেশি করা যায়। নিচে দুটি প্রধান উপায় আলোচনা করা হলো।ঘরোয়া চিকিৎসা:
অ্যালোভেরাতে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মেছতার দাগের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস মেছতার দাগের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। শসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। শসার রস মেছতার দাগের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিরোধ:
সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়া মেছতার প্রধান কারণ। তাই রোদ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে আপনি আপনার মুখে সূর্যের আলো পড়তে দিবেন না কখনোই। বাইরে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, পানি পান করুন এবং ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খুবই জরুরি তাই পর্যাপ্ত ঘুৃমানোর চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ মেছতার তীব্রতা বাড়াতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় কি? এলোভেরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য এক কথায় খুবই উপকারী হিসেবে বহু পরিচিত। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা মেছতার দাগ গুলো কমাতে বা চিরতরে দূর করতে সাহায্য করে থাকে। নিচে এলোভেরা ব্যবহার করে মেছতা দূর করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-
১. সরাসরি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন:
এর জন্য একটি অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল বের করে নিন বা বাজের থেকে কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। জেলটি সরাসরি মেছতার দাগের উপর হালকা করে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। নাহলে শোয়ার সময় ও মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন যাতে জেল ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায়, আর দাগ না হয়ে থাকে। এটি ডেইলি ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা হবে না, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে লাগাবেন। ব্যবহারের শুরুর দিকে বেশি করে লাগাবেন আস্তে আস্তে এর ব্যবহার কমাতে পারেন।
২. অ্যালোভেরা এবং লেবুর রস:
একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে নিন। সাথে এতে ১ চা চামচ লেবুর রস, টক দই, মধু একসাথে ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি মেছতার দাগের উপর লাগান এবং ১৫ মিনিট রেখে এর পর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবেন।
৩. অ্যালোভেরা এবং মধু:
একটি বাটিতে প্রয়োজন মতো অ্যালোভেরা জেল নিন। এতে ১ চা চামচ মধু মেশান। এর পর ভালো ভাবে একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি মেছতার দাগের উপর লাগান এবং ২০ মিনিট রেখে তারপর এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
৪. অ্যালোভেরা এবং শসার রস:
একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। এতে ১ টেবিল চামচ শসার রস মেশান। মিশ্রণটি মেছতার দাগের উপর লাগান এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন কোনো সমস্যা হবে না। অ্যালোভেরা এবং শসার দুটোই ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি কি? মেছতা একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা, যা মুখ, নাক এবং গালে গাঢ় বাদামী বা ধূসর ছোপ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং গর্ভাবস্থা, হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়া এবং কিছু ওষুধের কারণে হতে পারে।
যদিও মেছতা সম্পূর্ণরূপে দূর করা কঠিন হতে পারে, তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এর তীব্রতা কমানো যায় এবং ত্বককে আরও উজ্জ্বল করা যায়। নিচে কয়েকটি প্রধান ঘরোয়া পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
অ্যালোভেরাতে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মেছতার দাগের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস মেছতার দাগের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। শসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
শসার রস মেছতার দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে। মধু মেছতার দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। গ্রিন টি আসলে অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গ্রিন টি ব্যাগ ঠান্ডা করে মেছতার দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন কিছু সময় এরপর ধুয়ে ফেলুন।
মেছতা দূর করার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
মেছতা দূর করার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কি? মেছতা একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা, যা মুখ, নাক এবং গালে গাঢ় বাদামী বা ধূসর ছোপ সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং গর্ভাবস্থা, হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়া এবং কিছু ওষুধের কারণে হতে পারে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মেছতা দূর করার জন্য বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে, ওষুধ নির্বাচনের আগে রোগীর শারীরিক গঠন, মানসিক অবস্থা এবং মেছতার কারণ ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে দাগ কমা বাদে অন্য আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানে কিছু উল্লেখ যোগ্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হলো:
Sepia মহিলাদের মধ্যে মেছতার প্রধান ওষুধ হিসেবে সেপিয়া পরিচিত। এখন মহিলারা গর্ভাবস্থা, মাসিক এবং মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেছতা হলে এটি ব্যবহার করে থাকেন।
লাইকোপোডিয়াম যাদের পেটের সমস্যা আছে বা হজমের সমস্যা দেখা দেয়, তাদের মেছতার জন্য এটি খুবই ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
সালফার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি মেছতার দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে।
মেছতা দূর করার সিরাম কোন গুলো
মেছতা দূর করার সিরাম কোন গুলো? মেছতা দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। এই সিরামগুলোতে সাধারণত কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা মেছতার দাগ কমাতে সাহায্য করে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান এবং তাদের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. ভিটামিন সি সিরাম: ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মেছতার দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সিরাম মেলানিনের উৎপাদন কমাতে এবং কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে ভিটামিন সি সিরাম সকালে ব্যবহার করা ভালো, সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে।
২. নিয়াসিনামাইড সিরাম: নিয়াসিনামাইড ভিটামিন বি৩ এর মতো কাজ করবে অনেকটা। এটি আপনার ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে থাকবে। এছাড়াও এটি মেছতার দাগ কমাতে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।
পুরুষের মেছতা দূর করার উপায়
পুরুষের মেছতা দূর করার উপায় কি? মেছতা নারী-পুরুষ উভয়ের ত্বকেই হতে পারে। পুরুষদের মেছতা সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে হয়:
- সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়ার জন্য,
- হরমোনের পরিবর্তনের কারণে,
- কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্যও এটা হয়ে থাকে,
- ত্বকের আঘাত বা প্রদাহ থেকে।
সূর্যের আলোতে বেশি যাওয়া মেছতার প্রধান কারণ। তাই রোদ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে আপনি আপনার মুখে সূর্যের আলো পড়তে দিবেন না কখনোই। বাইরে যাওয়ার আগে ভালো করে মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও এটা হতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ঔষধ খাবেন না।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, পানি পান করুন এবং ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খুবই জরুরি তাই পর্যাপ্ত ঘুৃমানোর চেষ্টা করুন। মানসিক চাপ মেছতার তীব্রতা বাড়াতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করুন। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা মেছতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পুরুষের মেছতা দূর করার ক্রিম কোনটা ভালো
পুরুষের মেছতা দূর করার ক্রিম কোনটা ভালো? পুরুষের মেছতা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। এই ক্রিম গুলোতে সাধারণত কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা মেছতার দাগ কমাতে সাহায্য করে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান এবং তাদের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিন তারপর ব্যবহার করবেন।
- হাইড্রোকুইনোন একটি শক্তিশালী ত্বক ফর্সা করার ক্রিম। এটি মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে মেছতার দাগ হালকা করতে অনেকটা সাহায্য করবে। দাগ দূর করার জন্য এটা একটা ভালো উপায় হাইড্রোকুইনোন ক্রিম সাধারণত ২% থেকে ৫% পর্যন্ত ঘনত্ব পাওয়া যায়।
- অ্যাজেলিক অ্যাসিড একটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি উপাদান যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং মেছতার দাগ অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। অ্যাজেলিক অ্যাসিড ক্রিমে আপনি সাধারণত ১৫% থেকে ২০% ঘনত্ব পাবেন।
- ভিটামিন সি সিরাম সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং আপনার চেহারার মেছতার দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সিরাম বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। এই ক্রিম ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ব্যবহারের পর মুখে কিছু হলে আমরা দায়ী না।
লেখকের শেষ মন্তব্য
লেখকের শেষ মন্তব্য- আশা করি "চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন" পোস্টটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হয়েছেন। আর আপনি যদি এরকম পোস্ট আরো পেতে চেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url