চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন। আর ঠিক ভাবে মেনে চলুন সঠিক উপায় তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার যদি চোখ উঠে তখন আপনি কি করবেন সেই সম্পর্কে।
পোস্টের সূচিপত্র:- চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
- চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
- চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা কি
- চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
- চোখ উঠার লক্ষণ গুলো কি
- চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন
- চোখ উঠার উপকারিতা কি জানুন
- চোখ লাল হয়ে গেলে কি করা উচিত
- চোখ দিয়ে পানি পড়লে কী করতে হবে
- চোখ উঠার কারণ গুলো কি
- চোখ উঠলে কি কি করণীয়
- বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি
- চোখ উঠা কি ছোয়াচে রোগ
- আমাদের শেষ কথা
চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন
চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন। চোখ উঠলে কিছু সহজ উপায়ে আপনি নিজেই কিছু করতে পারেন:
- হাত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে রাখুন।
- চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ আপনার হাতে বিভিন্ন জীবাণু থাকতে পারে। প্রয়োজনে হাত ধোঁয়ার পর ব্যবহার করতে পারেন।
- চোখ ভেজা হলে পরিষ্কার টিস্যু দিয়ে মুছুন। কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো।
- চশমা ব্যবহার করে চোখকে ধুলাবালু থেকে রক্ষা করুন।
- চোখকে যথেষ্ট বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করুন। ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত যদি সমস্যা বেড়ে যায়, অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা কি
চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা কি? চোখ উঠলে অস্বস্তি হলেও সাধারণত ঘরোয়া কিছু উপায়ে তা উপশম করা যায়। তবে মনে রাখবেন, যদি সমস্যা বেড়ে যায় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু উপায়:
- একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে কিছু সময় ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এটি আপনার চোখের ফোলাভাব এবং চুলকানি কমাতে অবশ্যই সাহায্য করবে আর আপনার চোখকে আরাম দিবে।
- চা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। চা বানানোর পর ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ঠান্ডা করে চোখের উপর রাখলে উপকার পাবেন।
- আলুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। আলুর টুকরো বা আলুর রস চোখের উপর রাখলে এটি আপনার চোখের ফোলাভাব কমতে পারে।
- চোখকে যথেষ্ট বিশ্রামে রাখুন। মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে দিন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার চেষ্টা করুন। পানি পান করা প্রয়োজন শরীর ভালো রাখতে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এরজন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
কিছু বিষয় যা মনে রাখবেন তা হলো:- চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চোখ ভেজা হলে পরিষ্কার টিস্যু দিয়ে মুছুন। ধুলোবালি থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করতে চাইলে আপনি চশমা ব্যবহার করতে পারেন। অন্যের সাথে জিনিসপত্র শেয়ার না করাই ভালো কেননা এর মাধ্যমে চোখের সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না। এছাড়াও আপনি ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। আপনার চোখে ব্যথা অনেক বেশি হলে, চোখ লাল হয়ে যাওয়া না কমলে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে পড়লে, চোখ থেকে পুঁজ বের হলে, জ্বর আসলে। চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা কি? জেনে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হয়েছেন।
পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখুন। সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। চোখে হাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন। ঠান্ডা সেক দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি যদি চান তাহলে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো কাপড় বা আইস প্যাক চোখে লাগাতে পারেন। এতে আপনার চোখ ফুলে যাওয়া কমবে এবং আপনার আরাম অনুভূতি হবে । যথা সম্ভব বিশ্রাম নিবেন এতে চোখে আরাম অনুভূতি হবে তাই চোখকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিন। মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে কমিয়ে দিন। চশমা ব্যবহার করতে পারেন। ধুলোবালি থেকে নিজের চোখকে রক্ষা করতে চশমা ব্যবহার করুন।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না? চোখ উঠলে কি কি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তা অবশ্যই জানা উচিত। চোখ উঠলে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এগুলো আমাদের শরীরে অ্যালার্জি বা প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং চোখের সমস্যাকে আরও খারাপ করতে পারে। আর আমাদের এই অবস্থায় এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যাতে আমাদের চোখ তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে।
কছু খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত। মশলাদার খাবার: মরিচ, লঙ্কা, রসুন ইত্যাদি মশলাদার খাবার শরীরে তাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং এটি আপনার চোখের জ্বালাপোড়া বাড়িয়ে দিতে পারে। লেবু, কমলা, টমেটো ইত্যাদি অ্যাসিডিক খাবার চোখের ত্বককে জ্বালাতে পারে তাই এগুলো না খাওয়াই ভালো হবে। শসা ঠান্ডা খাবার কিন্তু তবুও এটি চোখের জন্য ক্ষতিকর। আলু চোখের ফোলাভাব বাড়াতে পারে। তবে ঠান্ডা আলুর টুকরো চোখের উপর রাখলে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। কিছু শাকসবজি, যেমন পালং শাক, মূলা, ফুলকপি ইত্যাদি শরীরে গরম বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিছু সমুদ্রের মাছ, যেমন টুনা, স্যামন ইত্যাদি অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে তাই এগুলো না খাওয়াই ভালো হবে। এছাড়া চিংড়িতেও চুলকানির সৃষ্টি হয়। ডিম খাওয়ার ফলেও কখনো কখনো অ্যালার্জি হয়ে থাকে। দুধ ও দুগ্ধজাত যেকোনো খাবার আমাদের শরীরে মধ্যে শ্লেষ্মা বাড়িয়ে থাকে এবং চোখের সমস্যাকে আরো খারাপ করে দিয়ে থাকে। অ্যালার্জি হতে পারে এমন খাবার না খাওয়াই ভালো।
কিছু খাবার যা খাওয়া উচিত তা হলো:- বিট চোখের জন্য উপকারী। এতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গাজরে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে থাকে যা চোখের জন্য উপকারী। পালং শাকে লুটিন এবং জিয়াক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বেদানা চোখের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না আর কি খাওয়া যাবে তা মেনে খাবার গ্রহণ করুন।
চোখ উঠার লক্ষণ গুলো কি
চোখ উঠার লক্ষণ গুলো কি? সেগুলো হলো:- চোখ উঠলে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণগুলি লক্ষ্য করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার চোখে সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত চোখ উঠলে দেখা যায়: চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া চোখ উঠার একটি প্রাথমিক লক্ষণ। চোখে একটা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হবে। চোখ থেকে অতিরিক্ত পানি পড়তে পারে। চোখে চুলকানি হতে পারে। চোখের পাতা ফুলে যাওয়াও একটি সাধারণ লক্ষণ। ঘুম থেকে উঠলে চোখের পাতা লেগে থাকতে পারে এবং চোখ থেকে পুঁজ বের হতে পারে।
তীব্র আলোতে তাকাতে কষ্ট হতে পারে। কখনো কখনো দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। চোখ উঠার অন্যান্য লক্ষণ গুলো: মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, জ্বর। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন? যদি চোখের সমস্যা দিন দিন খারাপ হয়। যদি চোখে ব্যথা অনেক বেশি হয়। যদি চোখ থেকে পুঁজ বের হওয়া বন্ধ না হয়। যদি দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বেড়ে যায়। চোখ উঠা সংক্রামক। তাই নিজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না। চোখে হাত না দেওয়া। চোখ পরিষ্কার রাখা। চোখ উঠার লক্ষণ গুলো এগুলোই।
আপনার যদি চোখ ওঠে তাহলে প্রথমে চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল রং দেখা যাবে। চোখের পাতা ফুলে যাবে আর চোখ জ্বালাপোড়া করবে। চোখের ভেতর অস্বস্তি ও ব্যথা শুরু হবে। রোদ বা আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হতে পারে। আপনার চোখ থেকে তখন অতিমাত্রায় পানি পড়বে। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হবে । ঘুম থেকে ওঠার পর খেয়াল করলে দেখা যায় চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে।
চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন
চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন? তা নির্ধারণ করার জন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো। কারণ, চোখ উঠার কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা দরকার। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চোখে কোন কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। চোখ বিভিন্ন কারনে উঠে থাকে আপনার কারণ অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে প্রয়োজন মোতাবেক চোখের ড্রপ সাজেস্ট করবেন।
কিছু সাধারণ ধরনের চোখের ড্রপের নাম:
- অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
- স্টেরয়েড ড্রপ এলার্জিক প্রতিক্রিয়াজনিত চোখের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
- ভাস্কুলার ডিকনজেস্ট্যান্ট ড্রপ। চোখ লাল হয়ে গেলে ব্যবহার করা হয়।
চোখ উঠার উপকারিতা কি জানুন
চোখ লাল হয়ে গেলে কি করা উচিত
চোখ লাল হয়ে গেলে কি করা উচিত? চোখ লাল হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন অ্যালার্জি, সংক্রমণ, চোখের শুষ্কতা, বা চোখে কোনো জিনিস ঢুকে যাওয়া। এছাড়াও অনেকেই যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে তখন তারা লক্ষ্য করেন তাদের চোখ লাল হয়ে আছে। অনেকেই ভাবে যে একটু পর তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে অনেক তা ঠিক হয়েও যায়। তবে যদি প্রায় চোখ লাল হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে লাল থাকলে এটি অবহেলা করার বিষয় না। যদিও চোখ লাল হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে কিছু কারণ চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে।
চোখ লাল হয়ে গেলে সাধারণত কিছু করা উচিত: চোখকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিন। কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে দিন। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এটি ফোলাভাব এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী লুব্রিকেটিং চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে রাখুন। চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি ধূলোবালি বা পোকামাকড়ের সমস্যা হয় তাহলে চশমা ব্যবহার করুন।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। নিজে থেকে কোনো ওষুধ বা চোখের ড্রপ ব্যবহার করবেন না এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখ যেহেতু আমাদের শরীরের মধ্যে সবচেয়ে সেন্সিটিভ একটা জায়গা তাই এখানে ডাক্তারের পরামর্শই নেওয়া উচিত। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো কিছু ব্যবহার করা ঠিক বা উচিত না। এই সম্পর্কে জানতে আপনি একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। চোখ লাল হয়ে গেলে কি করা উচিত আপনি তখন এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন।
চোখ দিয়ে পানি পড়লে কী করতে হবে
চোখ দিয়ে পানি পড়লে কী করতে হবে?
চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ অনেকগুলো হতে পারে। যেমন, অ্যালার্জি, সংক্রমণ, চোখের শুষ্কতা, নেত্রনালির সমস্যা ইত্যাদি। চোখ দিয়ে পানি পড়লে সাধারণত কিছু করা উচিত: চোখকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিন। কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার কমিয়ে দিন। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপর ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এটি ফোলাভাব এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী লুব্রিকেটিং চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে রাখুন।
চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যদি ধূলোবালি বা পোকামাকড়ের সমস্যা হয় তাহলে চশমা ব্যবহার করুন। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খান। চোখের পাতার মধ্যে থাকে কয়েকটি গ্রন্থি যেগুলি থেকে জলীয় পদার্থ বের হয়। এখানে স্নেহ পদার্থের ও ক্ষরণ হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডাতে থাকলে চোখের পাতায় থাকা এই লিপিড গুলো উৎপাদক ও গ্রন্থিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাব অবশ্য পরে অশ্রুগ্রন্থির উপরেও। সব মিলিয়ে চুলকাতে থাকে চোখ। তার উপর দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইম সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়লে কী করতে হবে? আপনি উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন।
চোখ উঠার কারণ গুলো কি
চোখ উঠার কারণ গুলো কি? চোখ উঠার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। সাধারণত, চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া বা ব্যথা অনুভব করাটাকেই চোখ উঠা বলে। চোখ লাল হওয়ার সাথে জ্বর, গলা ব্যথা বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। চোখ উঠার কারণ গুলো হলো:-
সর্বাধিক সাধারণ কারণ হলো ভাইরাস। সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাসও চোখ উঠাতে সাহায্য করে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও চোখ উঠার কারণ হতে পারে।ধুলো, পরাগ, পশম ইত্যাদির কারণে অ্যালার্জি যদি হয় তাহলেও চোখ লাল হতে পারে। চোখে যথেষ্ট পানি না থাকলেও চোখ লাল হতে পারে। কোনো প্রকার ধুলোবালি, পোকামাকড় ইত্যাদি চোখে ঢুকে গেলে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। চোখে কোনো আঘাত লাগলেও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। কিছু চোখের রোগ, যেমন গ্লুকোমা, কেরাটাইটিস ইত্যাদিও চোখ লাল হওয়ার কারণ হতে পারে।
চোখ ওঠা রোগ আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো- স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়া ও পরিবেশে বসবাস করার জন্য। ঠান্ডা গরমের পরিবেশে বাতাসের প্রবাহের পরিবর্তন হলে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পে বেশি থাকলে। আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায় না এমন পরিবেশে বসবাস করলে। মলত্যাগের পর ভালো করে হাত পরিষ্কার না করলে। রুবেলা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণেও চোখ ওঠা রোগ হতে পারে।
চোখ উঠলে কি কি করণীয়
চোখ উঠলে কি কি করণীয়? সাধারণত গরম আর বর্ষা কালে চোখ ওঠে থাকে। আর একে বলা হয় থাকে কনজাংটিভাইটিস। যদি ও আমাদের দেশে এই সমস্যাটি চোখ ওঠা নামেই সবার কাছে পরিচিত। এই রোগটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। ফলে খুব দ্রুতই এটি অনেক সহজে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ রোগের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব হওয়া, চুলকানি সৃষ্টি হয় বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়, তারপর অন্য চোখে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়া শুরু হয়ে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ওঠে এবং অনেকটা চোখের অংশ লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলতে এবং চুলকাতে থাকে। আলো পড়ায় চোখে আরও অস্বস্তি হয়।
চোখ উঠলে কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে অবস্থা স্বাভাবিক করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে আপনি চোখে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি অবস্থা গুরুতর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চোখ রগড়ালে সংক্রমণ বাড়তে পারে। মেকআপ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন কেননা মেকআপ সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। চোখ সম্পূর্ণ ঠিক না হওয়া অব্দি মেকআপ বন্ধ রাখায় ভালো হবে। ধূলাবালু থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন ধূলাবালু চোখের সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। চোখ উঠলে কি কি করণীয় বুঝতে পেরেছেন অবশ্যই।
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি? বাচ্চাদের চোখ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরি। চোখে বারবার পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। টিস্যু পেপার একবার ব্যবহার করার পর তা ফেলে দেওয়া উচিত। চোখ পরিষ্কার করার সময় কখনে শক্ত জাতীয় কাপড় ব্যবহার করবেন না। যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন নরম ও পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। ছোট বাচ্চাদের যাতে নজর না লাগে এজন্য অনেকে ছোট বাচ্চাদের চোখে কাজল লাগিয়ে থাকে। কিন্তু এ সময় চোখে কোনো রকম কাজল বা অন্য কিছু কখনোই দেওয়া যাবে না। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেওয়া হলো:
হাত পরিষ্কার রাখুন সবসময়। সবচেয়ে প্রথমে আপনি সাবান দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। এর ফলে সংক্রমণ অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়া থেকে অনেক দ্রুত রোধ হবে। চোখ স্পর্শ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন সংক্রমিত চোখ স্পর্শ করলে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই স্পর্শ না করাই ভালো হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চোখের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করান। ডাক্তার চোখের ড্রপ বা অন্য কোন ওষুধ দিতে পারেন। তা নিয়ম মতে মেনে চলুন।
বাচ্চাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শিখান। যেমন, হাঁচি-কাশি করার সময় মুখ বা নাক ঢেকে রাখা, ব্যবহৃত টিস্যু ফেলে দেওয়া ইত্যাদি। সাধারণ ব্যবহারী জিনিসপত্র সব আলাদা রাখুন। সংক্রমিত বাচ্চার ব্যবহৃত তোয়ালা, জামা, মগ, চশমা, খেলনা ইত্যাদি অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন না। এগুলো আলাদা রাখা ভালো। আপনার বাচ্চাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। সুষম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি জানতে পেরেছেন অবশ্যই।
চোখ উঠা কি ছোয়াচে রোগ
চোখ উঠা কি ছোয়াচে রোগ? হ্যাঁ, চোখ ওঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। চোখের এই রোগটি মূলত একটা ভাইরাসজনিত সমস্যা। রোগটি হলে অনেকেরই কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না এমনি তারা ভালো হয়ে যায়। সাধারণত চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। আবার কারো ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সারাতে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দুই বা এক চোখ লাল হওয়া শুরু করে। চোখে পুঁজ জমা হতে থাকে, চোখ থেকে পানি ঝরা শুরু হয়, চোখ জ্বালাপোড়া করে।
চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়। এটি একজন থেকে অন্যজনের খুব সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ স্পর্শ করার জন্য এটি হতে পারে। যখন কেউ চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার চোখ স্পর্শ করে এবং তারপর অন্য কোনো জিনিস বা ব্যক্তিকে স্পর্শ করে, তখন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত তোয়ালে, চশমা, খেলনা ইত্যাদি ব্যবহার করলেও সংক্রমণ হতে পারে।
চোখ ওঠা কীভাবে প্রতিরোধ করবেন জানুন।
- সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।
- যদি চোখে কিছু লাগে, তাহলে পরিষ্কার টিস্যু ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন না।
- হাঁচি- কাশি করার সময় মুখ বা নাক ঢেকে রাখুন।
- চোখের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করান।
- ডাক্তার চোখের ড্রপ বা অন্য কোন ওষুধ দিতে পারেন।
চোখ উঠা কি ছোয়াচে রোগ জানতে পেরেছেন অবশ্যই।এভাবে আপনিও চোখ উঠার মতো ছোয়াচে রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন। চোখ উঠার প্রাথমিক সময়ে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিন। যাতে এটি মারাত্মক আকার না নেয়।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের শেষ কথা- চোখ আমাদের শরীরের খুবই সেনসেটিভ জায়গা। এই জায়গার প্রতি বিশেষ ভাবে যত্নবান থাকা উচিত। অপরিস্কার হাতে চোখে কখনো হাত দিবেন না। অপরিস্কার হাতে চোখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ছোয়াচে রোগ হতে পারে তাই আগে থেকে সাবধানে হওয়া উচিত যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যার না সম্মুখীন হতে হয়। আর সংক্রমণ রোগীর জিনিস ব্যবহার করবেন না কখনোই। নিজে সচেতন হন এবং অন্যকেও সচেতন করুন।
আশা করি "চোখ উঠলে করণীয় কি জেনে নিন" পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন এরকম পোস্ট আপনি যদি আরো পেতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন কেননা এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে তাই আপনি যদি চান তাহলে সেগুলো পড়তে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url