অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনি কি অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? এ সম্পর্কে আপনি অবগত নন তাহলে এই পোস্ট টি বিস্তারিত পড়ুন। কেননা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি ও অবাক হবেন।
এছাড়াও আপনি এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা সম্পর্কে এছাড়া ও আপনি জানবেন গাছের ছাল কোথায় পাওয়া যায় এবং এটি খাওয়ার নিয়ম,এর অপর নাম ও তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পোস্টের সূচিপত্র :-
- অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা কি কি
- অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা কি
- অর্জুন গাছ কোথায় পাওয়া যায়
- অর্জুন গাছের ছাল কোথায় পাওয়া যায়
- অর্জুন গাছ চেনার উপায়
- অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
- অর্জুন গাছের ফল কি কাজে লাগে
- অর্জুন গাছের অপর নাম কি
- অর্জুন গাছ আর গর্জন গাছ কি একি
- অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয়
- অর্জুন ছালের গুড়া কিভাবে পাওয়া যায়
- লেখকের শেষ কথা কি জানুন
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা কি কি
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা কি কি তা জানুন।
- চর্মরোগ ঠিক করতে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- ফোড়া বা মুখে ঘা জাতীয় কিছু হলে সেখানে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়।
- যাতে ব্রণের সমস্যা আছে তারা মাঝেমধ্যে মধু বা চিনি, টক দই,ডিম আর কোন গাছের ছালের গুড়া মিক্স করে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- হৃদ্র রোগীদের কে দুধের সাথে অর্জুন গাছের ছালের গুড়া মিশিয়ে খাওয়ানা হয় এর ফলে অনেকটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
- আমাশয় হলেও অর্জুন গাছের ছালে গুড়া খাওয়া যাবে।
- যাদের দাঁতের গোড়ায় সমস্যা তারা অর্জুন গাছের ছায়া গোঁড়া খেতে পারেন এর ফলে দাঁতের গোড়ার সমস্যা সমাধান হয়।
- কানের ব্যথা ঠিক করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- কিডনি ভালো রাখতেও এটি খুবই উপকারী। কিডনিতে যদি পাথর হয়ে থাকে সেটি নিরাময় করতে হবে এটি ব্যবহার করা হয়।
- হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
- যাদের হাঁপানি রোগ আছে তারাও এটি খেতে পারেন। হাঁপানি রোগ দূর করতে হবে কি সহায়তা করে থাকে।
অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা কি
গর্ভবতী মহিলাদের
ডায়াবেটিস
অর্জুন গাছ কোথায় পাওয়া যায়
অর্জুন গাছ মূলত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় আছে। ভারতীয় উপমহাদেশে এর নিজস্ব বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম আছে এবং এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ গাছ।অর্জুন গাছ প্রধানত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যেয়ে থাকে। এটি প্রধানত উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ুর অঞ্চলগুলোতে জন্মায়। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যভারতে, বিশেষ করে রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটে এই গাছ দেখা যায়। এটি নদীর তীর, বন্য অঞ্চলে,বন্য ভূমি তে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।
অর্জুন গাছের ছাল কোথায় পাওয়া যায়
অর্জুন গাছের বিশেষ উপকার রয়েছে তাই এটি একটি ঔষধ হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে এই গাছের ছাল বিক্রি করা হয় আপনি সেখান থেকে এটি কিনতে পারবেন। ১০০ গ্রাম ওজন অর্জুন গাছের ছাল আপনি পেয়ে যাবেন শুধুমাত্র ২০০ থেকে ২২০ টাকাতে। আজ যদি আপনার বাসার কাছে অর্জুন গাছের ছাল থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। যেহেতু অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা অনেক তাই অনেকে এটা খায়।
অর্জুন গাছ চেনার উপায়
অর্জুন গাছ চেনার উপায় কি তা জানুন।অর্জুন গাছ চেনার কিছু সহজ উপায় রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে অর্জন গাছকে শনাক্ত করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, সাধারণত এর অনেক লম্বা হয়ে থাকে এদের উচ্চতা 20 থেকে 25 m পর্যন্ত হয়। এর ডাল গুলো সাইজে বড় হওয়ার কারণে নিচের দিকে ঝুলে থাকে। অর্জুন গাছ সাধারণ স্যাঁত স্যাঁতে দোঁআশ মাটিতে হয়ে থাকে। এ পাতাগুলো অনেকটা মানুষের জিহ্বার মত দেখতে। অর্জুন গাছের ছাল এবং এর বর্ণ ধূসর রং এর।
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
অর্জুন গাছের ছালের এক চামচ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিতে পারেন এবং সকালে উঠে খেয়ে নিতে পারেন। এটা যে সকালে খেতে হবে এমন কোন বাধ্যকতা নেই আপনি আপনার সময় মত খেতে পারবেন। অর্জুন গাছ ফলে আপনার ফুসফুসে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার হাড় কেটে মজবুত ও শক্ত করবে। অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানছেন।
অর্জুন গাছের ফল কি কাজে লাগে
অর্জুন গাছের ফল কি কাজে লাগে? অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন অর্জুন গাছের ফল সাধারণত মে থেকে জুন মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। ফলের সাইজ লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। এই ফলগুলো পাঁচ খাঁজ যুক্ত কামরাঙ্গা ফলের মত দেখতে। এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নানা ধরনের উপকারে আসে। এর কিছু ব্যবহার হলো:
- অর্জুন গাছের ফল ও ছাল প্রাকৃতিক হৃদরোগের উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে যথাযথ ভাবে।
- অর্জুনের ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরকে ক্ষতিকারক পর্দাথ থেকে রক্ষা করে।
- এটি পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং অ্যাসিডিটি বা পেটের সমস্যাগুলো কমায়।
- অর্জুন গাছের ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সাহায্য করে, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।
এছাড়া, অর্জুন গাছের ফলের ব্যবহারে কিছু বিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই এটি ব্যবহারের আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অর্জুন গাছের অপর নাম কি
অর্জুন গাছের অপর নাম কি? অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হল টার্মিনালিয়া অর্জুনা। এছাড়া এর আরো নাম আছে যেমন এর ইংরেজি নাম Arjun.একে সাদা মারুধ ও বলা হয়ে থাকে। একে রাজ অর্জুন ও বলা হয়ে থাকে। অনেকে একে আর্জুন বলে। হিন্দিতে একে অর্জুন বলে আবার বাংলাতেও একই ভাবে একে অর্জুনই বলে।ধন্বম্নতরি ও বলে।
আরো পড়ুন :-চুল পড়া বন্ধ করব কিভাবে
অর্জুন গাছ আর গর্জন গাছ কি একি
অর্জুন গাছ আর গর্জন গাছ কি একি না, অর্জুন গাছ আর গর্জন গাছ এক নয়। এরা দুটি ভিন্ন প্রজাতির গাছ।
অর্জুন গাছ মূলত একটি ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত সবার কাছে । এর বাকল, পাতা ও ফল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণত দো-আঁশ মাটিতে ভালো করে জন্মায় এবং আর্দ্র ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এটির জন্য সবচেয়ে ভালো ।
গর্জন গাছ অন্যদিকে, একটি সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের গাছ। এটি সাধারণত জলাভূমি বা নদীর কাছাকাছি জায়গায় জন্মে থাকে । গর্জন গাছের শেকড় বট গাছের মতো ঝুলে যায় এবং এর ফলগুলো সজনের মতো লম্বা হয় ।
দুটি গাছের মধ্যে প্রধান পার্থক্য:
জন্মস্থান:
অর্জুন গাছ বিভিন্ন ধরনের মাটিতে জন্মাতে পারে, আর গর্জন গাছ সাধারণত জলাভূমি বা নদীর কাছে জন্মে।
বৈশিষ্ট্য:
অর্জুন গাছের ছাল, পাতা ও ফল ঔষধি গুণ সম্পন্ন, আর গর্জন গাছের শেকড় বট গাছের মতো ঝুলে থাকে এবং এর ফল সজনের মতো লম্বা।
ব্যবহার:
অর্জুন গাছ মূলত ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, আর গর্জন গাছের ব্যবহার সাধারণত অন্য উদ্দেশ্যে হয়।
অর্জুন গাছ আর গর্জন গাছ দুটি পুরো আলাদা প্রজাতির গাছ। এদের বৈশিষ্ট্য, জন্মস্থান,উপকার এবং ব্যবহার সম্পূর্ণ ভিন্ন।
অর্জুন গাছের ছাল খেলে কি হয়
পেটের মেদ
চুলের বৃদ্ধিতে
অর্জুন গাছের ছাল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যাদের চুল ছোট তারা যদি তাদের চুল বৃদ্ধি করতে চান তাহলে তারা চুলে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন কারন এটি খুব দ্রুত আপনার চুল বাড়তে সাহায্য করবে।
খুসখুসে কাশি
অর্জুন ছালের গুড়া কিভাবে পাওয়া যায়
অর্জুন চালের গুড়া আপনি মূলত অর্জুন গাছের ছালের বা বাকুলের গুরা করার মাধ্যমে পেয়ে থাকবেন। এটি গুড়া করার আগে প্রথমে রৌদ্রের ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর এটিকে গুড়া করতে দেওয়া হয়। ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে এটি অনেক দিন ঠিক থাকে আপনি এটাকে ১ বছর রেখো খেতে পারবেন। অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
লেখকের শেষ কথা কি জানুন
আশা করি এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আপনি অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছেন। এটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে সিম্পিলিসিটি মাক্সকে ফলে দিয়ে রাখুন এরকম আরো পোস্ট পড়তে। এরকম পোস্ট এখানে আরো আছে আপনি চাইলে সেগুলো ও পরতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url