ড. মোহাম্মদ ইউনুস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য
নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস হলেন একজন বাংলাদেশী উদোক্তা, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, সমাজসেবক এবং ২০২৪ সালের ৮ই আগাস্ট থেকে বর্তমান সময়ের অন্তবর্তকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস তার জীবনীতে শিক্ষাকতা ও করছেন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক।তিনি ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার প্রবর্তক। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
পোস্টের সূচিপত্র :
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের জন্ম
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের শিক্ষাজীবন
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের কর্মজীবন
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের নোবেল অর্জন
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের প্রাইজসমুহ
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রন্থসমুহ
- ড.মোহাম্মদ ইউনুসের সেরা উক্তি
- ড.মোহাম্মদ ইউনুস কোন দল করেন
- অর্থনীতি নিয়ে মোহাম্মদ ইউনুসের ভাবনা
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের জন্ম
ড.মোহাম্মদ ইউনুস ১৯৪০ সালে ২৮শে জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বথুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতার নাম হাজী দুলা মিয়া সওদাগর আর মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। নয় ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি হলেন তৃতীয় নম্বর সন্তান। তার সহধর্মিণীর নাম আফরোজা ইউনুস।তার দুইটা কন্যা সন্তান রয়েছে। এক মেয়ের নাম মনিকা ইউনুস,আরেক মেয়ের নাম দিনা আফরোজা ইউনুস।
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের শিক্ষাজীবন
ড. মোহাম্মদ ইউনুসের শিক্ষা জীবনের শুরু হয় গ্রামের মহাজন ফকির নামের স্কুলে ভর্তি হন।১৯৪৪ সালে তার পুরো পরিবার গ্রাম থেকে শহরে চলে আসে।তিনি তখন শহরের লাম বাজার স্কুলে ভর্তি হন।ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটে যুক্ত হন।এখান থেকে তিনি মাত্র ১৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ,কানাডাসহ এশিয়ার বিভিন্ন জায়গার ভ্রমণের সুযোগ হয়।
ড.মোহাম্মদ ইউনুস চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে SSC পাস করেন। তৎকালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ তম স্থান লাভ করেন। ড.মোহাম্মদ ইউনুস তার শিক্ষা জীবনে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।কলেজে অধ্যায়ন কালে তিনি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা এবং আজাদী পত্রিকায় কলাম লেখার কাজে যুক্ত ছিলেন।১৯৫৭ সালে ড. মোহাম্মদ ইউনুস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন।
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের কর্মজীবন
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের কর্মজীবন শুরু হয় গবেষণার মাধ্যমে ব্যুরো অব ইকোনমিক্স তে।১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে। ১৯৬৫ সালে তিনি ফুল স্কোলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে অর্থনীতিতে পিএসচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদ লাভ করেন এই পদ ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ছিল।
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা
ড.মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাংকিং সুবিধা ও ঋণ প্রদান করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।এটি ব্যাংকিং সুবিধা ও ঋণ প্রদানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যেমে বাংলাদেশের নাগরিক অনেক উপকৃত হয়েছেন।দরিদ্র নাগরিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই মডেল বিশ্ব ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। বিশ্বের উন্নত দেশ এটি ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ হন।
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের নোবেল অর্জন
ড.মোহাম্মদ ইউনুস ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত লাভের কারণে ড.মোহাম্মদ ইউনুস বিশ্বের সবচেয়ে সম্মান জনক পুরুস্কার পেয়েছেন । বাংলাদেশী হিসেবে তিনি প্রথম নোবেল পুরষ্কার পান। এছাড়াও তিনি একাধিক প্রাইজ পান।
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের প্রাইজসমুহ
ড.মোহাম্মদ ইউনুস তার কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইজ পান।তিনি ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মিলিয়ে ১৪৫ টি পুরুস্কার অর্জন করেছেন।বিশ্বের ২৪ টি দেশে তিনি ৬১ টি সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। যেমন:
- প্রসিডেন্ট award
- রামোন ম্যাগসেসে award
- কেন্দ্রীয় ব্যাংক award
- স্বাধীনতা পুরুস্কার
- কেয়ার পুরুস্কার
- বিশ্ব খাদ্য পুরুস্কার
- আন্তর্জাতিক আক্টিভিটিস্ট আ্যওয়ার্ড
- শান্তি মানব পুরুস্কার
- অযাকি আ্যওয়াড
- ইন্দিরা গান্ধী পুরুস্কার
- আই ডি ই বি গোল্ড মেডেল পুরুস্কার
- হো চি মিন প্রাইজ
- মহাত্মা গান্ধী পুরুস্কার
- জাতীয় মেধা পুরুস্কার
- ফাউন্ডেশন অফ জাস্টিস
- সেরা বাঙালি award
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রন্থসমুহ
- Three farmers of jobra
- Jorimon and others
- Super happiness
- Grameen bank,as i see it
- Creating a world without poverty
- Legion of peace
- Grameen bank o amar jibon
- Building social business
- A world of three zeroses
- Banker to the poor
- Essential message islam
- Unlimited potential
- Bangladesh education
ড.মোহাম্মদ ইউনুসের সেরা উক্তি
- দরিদ্র মানুষের একমাত্র যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সুযোগ।
- আর্থিক সামর্থর বিবেচনায় নিচের দিকে থাকা ২৫ ভাগ জনগোষ্ঠীর জীবনমান দিয়ে আমি উন্নয়ানকে সংজ্ঞায়িত করি।
- দরিদ্র পুরুষদেরকে ঋণ দেওয়ার চেয়ে দরিদ্র মহিলাদের ঋণ দেওয়া অনেক কার্যকর।
- সভ্য মানুষ সমাজে দারিদ্র বেমানান।
ড.মোহাম্মদ ইউনুস কোন দল করেন
ড. মোহাম্মদ ইউনুছ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু নোবেল বিজয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে তিনি নাগরিক শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এর পরিকল্পনা বাদ দেন। ২০০৭ সালে যেমন সেনাবাহিনী থেকে তথ্যবদ্ধকালীন সরকার হওয়ার প্রস্তাব আসে তখনও তিনি সেটা নিষেদ করে দেন।
অর্থনীতি নিয়ে মোহাম্মদ ইউনুসের ভাবনা
ড. ইউনূসের মতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক মূলে রয়েছে দরিদ্রতা। এর ফলে সমাজে বিভিন্ন অংশ সামাজিক কাজে সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ থেকে সন্ত্রাসবাদীর সৃষ্টি হয়। আপনি মানুষকে গরিব রেখে সুখী রাখতে পারবেন না। তারা একটা স্থানীয় অবস্থায় থাকবে। আপনি যখন বেপরোয়া হবেন তখন আপনি শান্তির বিনষ্ট ঘটাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url